আরিফ সম্রাট,কেরানীগঞ্জ: সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭ বছরের বন্দী জীবন শেষে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির সময় কারাগারের বাইরে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ভিড় করেন এবং তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
এর আগে, ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলায় খালাস পান। ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা ছিল না।
২০০৭ সালের ২৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেপ্তার হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়, যার মধ্যে দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বাবরের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর আপিল শুনানি শুরু হয়। একে একে সব মামলায় খালাস পান তিনি।
২৩ অক্টোবর: দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস।
১ ডিসেম্বর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকেও খালাস।
১৪ জানুয়ারি: ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস।
বাবরের মুক্তি উপলক্ষে কারাগারের সামনে তার সমর্থক ও কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেন। তারা বাবরের মুক্তিকে ন্যায়বিচারের জয় বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে বাবরের আইনজীবী বলেন, “বাবর দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আইনি লড়াই করেছেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখন তিনি তার পরিবার ও দেশসেবায় মনোযোগী হবেন।”
লুৎফুজ্জামান বাবর তার মুক্তির পর বলেন, “আমি সবসময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আজ আমি মুক্ত। আমার নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এই দীর্ঘ সময়ে আমার পাশে ছিলেন।”
আপনার মতামত লিখুন :