ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় পলাতক ড্রাইভার আটক


ঢাকার চোখ প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ৬:৪৯ অপরাহ্ন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় পলাতক  ড্রাইভার আটক

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ৬ জন নিহতের ঘটনায় দায়ী ঘাতক বাস চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিন (২৯)কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর)  দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর)  বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার

তিনি জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী
টোলপ্লাজায় ব্যাপারী পরিবহন নামক একটি বেপরোয়া গতির বাসের (ঢাকা মেট্রো ব—১৪—৫১৭০) চাপায় পিষ্ট হয়ে নারী ও
শিশুসহ  দুই পরিবারের ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। বিষয়টি র‍্যাবের নজরে এলে ঘাতক চালককে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং র‍্যাব-১১ এর সহযোগিতায় রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আটক নুরুদ্দিন ভোলার দৌলতখান জয়নগর এলাকার মোঃ রফিক এর ছেলে।

র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত নুরুদ্দিন ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ হতে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বাসটিতে যাত্রীবোঝাই হলেও সে দ্রুত পৌছানোর জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিল। বাসটি দক্ষিণ  কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় পৌছলে  নিয়ন্ত্রন হারিয়ে টোল আদায় করতে থাকা একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে প্রাইভেট কারে থাকা ০৪ জন এবং মোটরসাইকেলে থাকা  এক নারী ও সাত বছরের শিশুসহ মোট ৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত নুরুদ্দিন গত ১০ বছর ধরে বাস,ট্রাক,পিকআপসহ বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ২ বছর যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল এবং বাসটির কোনো ফিটনেস সনদ ছিল না। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিলো।