আমার তেমন বন্ধু নেই, বাবা মা’ই আমার বন্ধুর মত : সাথী


ঢাকার চোখ প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ১:৩০ পূর্বাহ্ন
আমার তেমন বন্ধু নেই, বাবা মা’ই আমার বন্ধুর মত : সাথী

এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শায়লা সুলতানা সাথী। অভিনয় দক্ষতা দেখিয়ে উদীয়মান এ অভিনেত্রী খুব অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। প্রাংক কিং এন্টারটেইনমেন্ট নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তার অভিনয়ে যাত্রা শুরু।

সাথীর পড়াশোনা, অভিনয়সহ নানা বিষয় নিয়ে একটি শুটিং সেটে গল্প হয় ‘সংবাদ বাজার’র সাথে। গল্পের ফাঁকে প্রতিবেদকের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।

অভিনয়ের যাত্রা কিভাবে শুরু?
আমার মিডিয়ার জার্নিটা ভার্সিটির সাথে কানেক্টেড। আমি যেহেতু জগন্নাথে পড়াশোনা করতাম তো প্রাংক কিংয়ের যে সিইও আর্থিক ভাইয়া উনিও জগন্নাথের ছিলেন। আমি যে থিয়েটার ডিপার্টমেন্টের এটা যখন ভাইয়ার চোখে পড়েছে তখন সে আমার কাছে জানতে চাইলেন আমার অভিনয়ে আগ্রহ আছে কিনা। তার কাছে হয়তো মনে হয়েছে আমাকে দিয়ে কিছু একটা হবে। এরপর থেকে প্রাংক কিংয়ে লিড রোলে কাজ শুরু করি। পরে ধীরে ধীরে নাটকে পা রাখা।

মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি বাঁধা থেকেই যায়, সেক্ষেত্রে আপনি কি কোনো বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন?
অনেক পরিবার ছেলে মেয়েকে আলাদা করে দেখে। তবে আমার মতে যদি মেয়েদের ভেতর ট্যালেন্ট থাকে তবে তার কদর করতে হবে। যদিও অনেক পরিবারই সমস্যা করেন না। তবুও কিছু পরিবার ভাবে মেয়ে হয়ে সে বাহিরে কেন যাবে, এটা কেন করবে? এসব নানান কথা। এটা কিন্তু শুধু অভিনয়ের ক্ষেত্রে না সবক্ষেত্রেই। তবে আমার বাবা মা আমার ওপর এতোটুকু বিশ্বাস রাখেন যে, আমাদের মেয়ে এমন কোনো কাজ করবে না যেটাতে আমাদের মানসম্মান নষ্ট হবে। তারা আরও বিশ্বাস করেন যে, আমাদের মেয়ে যা করছে তা ভালো করছে। আমাদের উচিত তাকে সাপোর্ট করা। তবে এই আস্থাটি কিন্তু এক দুদিনে হয়নি। আমার তেমন বন্ধু নেই। বাবা মা’ই আমার বন্ধুর মত। অনেক সময় বাবা মায়েরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেন না কিন্তু আমাদের দায়িত্ব বাবা মাকে সেটা বোঝানো। যদিও এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই ব্যর্থ হই।

পরিবার আপনার কাজকে কতটুকু সাপোর্ট করে?
শুরুতে আসলে পরিবার ঐভাবে সাপোর্ট করে নাই। আমি ছোটবেলা থেকে একটু নাচ করতে পছন্দ করতাম। তারপর একক অভিনয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলোতে পারফর্ম করা। এগুলো আম্মু অতটা পছন্দ করত না। আবার ভাবতো যে, ‘এই কি করে না করে’। তো শুরুর দিকে সাপোর্ট করেনি কিন্তু যখন মানুষের কাছ থেকে রেসপন্স আসা শুরু করল, একেকজন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে শুরু করল যে, ওর এই কাজটা দেখেছি, এটাতো ভালো করেছে তখন আব্বু আম্মুর কাছে একটু ভালো লাগতে শুরু করে।