শিপন উদ্দীন: শীতের আগমনের সাথে সাথেই বাজারে উঠছে নতুন শাক সবজি। বিশেষ করে, ছিম, পালংসাক, কোফি, সহ সকল সবজির দাম কমেছে। বেড়েছে মাছ, মাংস, ও চালের দাম। আজ ( ২৩ ডিসেম্বর ) সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া, আটিবাজার,রুহিতপুর, জিনজিরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে, পালং শাক ৪০ টাকা , লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা কেজি, ফুল কপি ৫০ টাকা, পাতা কপি ৬০ টাকা, খিরাই ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ছিম প্রতি কেজি ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা ও বরবটি ৭০ টাকা, পুঁইশাক ৩০টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা,বেগুন ৭০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।আর পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭০ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। এছাড়া ডিমের দাম কমে প্রতি ডজন, ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে মাছ ও মাংস ও চালের দাম, বাজারে ইলিশ মাছের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-২০০০ টাকায়। রুই মাছ ৪০০-৪৭০ টাকা। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫৫, কাচকি ৪০০, কৈ ৫৫০, চিংড়ি ৯০০-১২০০ টাকা, দেশি টেংরা ১০০০ ও পাবদা মাছ ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশে এখন আমনের ভরা মৌসুম। এর মধ্যেই পাইকারিতে চালের দাম বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে বস্তাপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তাতে খুচরা পর্যায়ে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা
প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সপ্তাহ দুই আগে ছিল ৭২-৮০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে।
বাজার করতে আসা মাসুদ বলেন, বাজারের সব কিছুর দাম বেড়ে আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে । সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু বাকি সব পণ্যের দামিই চড়া। কি কিনবো বুজে উঠতে পারছি না। বাজারে এসেই মাথা গরম হয়ে যায় । এমন দাম বাড়লে আমরা কি করে চলবো। আমরা গরিব মানুষ এভাবে দাম বাড়লে কি করে বাজার করবো। এখনতু মাছের বাজারে যার যা মন চাচ্ছে সে ভাবে দাম হ্যাকাচ্ছে কেননা বাজার মনিটরিং করার মতো কাউকেতু দেখছি না। এ সুযোগ টাকে কাজে লাগাচ্ছে অনেক ব্যবসায়ী।
বাজার করতে আসা রবিউল বলেন, আমি একজন রিকশা চালক দিনে ৫০০-৭০০ টাকা ইনকাম করি। যখন বাজারে আসি তখন কি কিনবো ভেবে পাইনা। যে দাম সব জিনিসের কাঁচা বাজার একটু দাম কমছে আর বাকি সব জিনিসের দাম বেশি যেমন মাছ, চাল ডাল তেল সব পণ্যের দাম চড়া । এখন আমাদের গরীদের হইছে মরণ কেননা আমরা যে ডাল ভাত খাবো সেই উপায় ও নেই।
সবজি বিক্রেতা কালাম বলেন, পাঁচ পাখি জমিতে সবজি চাষ করেছি। এখন ও দাম ভালোই পাচ্ছি। এখন ভয় শুধু বৃষ্টির। কেননা বৃষ্টি আসলে সব সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। তবে যেভাবে বাজার ধর যাচ্ছে সবজির দাম ভালোই পাচ্ছি।
সবজি বিক্রেতা সাদেক বলেন, আমি দুই পাখি জায়গায় সবজি লাল শাক, পালং শাক চাষ করেছি। তবে আমার যা খরচ হইছে। সেই অনুযায়ী দাম পাচ্ছি না। অনেক কম দামেই লাল শাক বিক্রি করছি । কি করবো এখন দেখি কি হয়। তারপর ও এখন যে দাম পাচ্ছি আর পেনোর দিন বিক্রি করতে পারলেই আমার পুষিয়ে যাবে ।
মোদী দোকানি সোহেল বলেন, এখন বাজারে পণ্যের দাম কিছু টা বেড়েছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় এখন দাম একটু বাড়তি। আটা, ময়দা, তেলের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আর অনেক পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।
চাল ব্যবসায়ী রাজেশ বলেন, নতুন চাল বাজারে না আসায় চালের দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। নাজির সাইল আর মিনিকেট চালের দাম বস্তায় ১৫০ টাকা বেড়েছে। নতুন চাল বাজারে আসলে এমনি দাম কমে যাবে। তবে এখন চালের দাম ক্রেতার হাতের নাগালেই আছে বলে জানান এই চাল বিক্রেতা।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, কেরানীগঞ্জের হাট বাজার গুলোতে আমাদের মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। প্রতিটি দোকানে সরকারি মূল্য তালিকার দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করতে হবে। যে ব্যবসায়িরা ক্রেতার কাছ থেকে পণ্য বেশি দামে বিক্রি করবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :