কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা পরিবারের দাবি ব্যবসায়ী


ঢাকার চোখ প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৮, ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা পরিবারের দাবি ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বোয়ালখালী ব্রিজ এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে রুবেল তালুকদার (৪২) নামে এক ব্যক্তির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিনগত মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি।

পুলিশ বলছে ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরের দিকে মৃত্যু হয় তাঁর।

নিহত রুবেল তালুকদার ইট-বালু সিমেন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানিয়েছে স্বজনরা। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে শুভাড্যা পূর্বপাড়া এলাকার আল ইসলাম তালুকদারের ছেলে। নিহত রুবেল এক ছেলের বাবা।

এক ভিডিও রেকর্ডে দেখা যায় গোয়ালখালী, কামার্তাসহ আসপাশের কিছু স্থানীয় লোক ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে তাকে বেধড়ক মারধর করে, মার খেয়ে একপর্যায়ে সে ব্যক্তি পানিতে লাফিয়ে পড়ে, পরবর্তীতে লোকজন তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় কেউ কেউ মারধরে বাধা দিলে তাদের প্রতিও চড়াও হয় হামলাকারীরা। পরে ভুক্তভোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে কিছুদূর ফেলে আসা হয় তাকে। পুলিশ সেখানে থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।

নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রনি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে কেরানীগঞ্জ বোয়ালখালী ব্রিজের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে পরের দিন দুপুরে সে মারা যায়।

এসআই রনি আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের মুখে জানতে পারি কিছু লোক দুই ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে দেখতে পাই, আরেকজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে কে বা কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।’

নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ‘আমার স্বামী ইট বালু সিমেন্টের ব্যবসা করতেন‌। গতরাতে বাসায় না আসলে আমরা দুপুর ১টার দিকে জানতে পারি কেরানীগঞ্জে এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে আছে। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে আমরা এসে আমার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করি।