বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিল করসহ বিভিন্ন দাবি ও প্রতিবাদ সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেছে বামপন্থি শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে শোভাযাত্রা চলাকালে ডিএসএ বাতিল কর, দাম কমাও জান বাঁচাও, মুখ বন্ধ করে দেওয়া স্বাধীনতা! চাল জোটে না ইলিশ কই পাব? নববর্ষের পরাধীনতার শিকল ভাঙোসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
এসব প্ল্যাকার্ড হাতে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকা, চাল-ডাল কেনার সক্ষমতা না থাকা, আয় কমছে ব্যয় বাড়ছে- এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন তারা।
তবে শোভাযাত্রা শেষে তাদের ওপর চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড ভাঙচুর ও হামলা করেছে বলে অভিযোগ বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রেশমি সাবা এবং সাধারণ সম্পাদক তানজীমুর রহমান রাফি প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড লেখায় চারুকলা মঙ্গল শোভাযাত্রায় ছাত্রলীগের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাম্প্রদায়িকতার নৌকা ভাসছে আর দোর্দণ্ড প্রতাপে আওয়ামীকরণের জোয়ার চলছে জাতীয় সংস্কৃতিতে।
বিবৃতেতে নেতারা বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় দেশের আমজনতার মঙ্গল বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল চিন্তাশীল একগুচ্ছ বামপন্থি শিক্ষার্থী। হাতে নান্দনিক ককশিটে চাল, ডাল, তেলের দাম বৃদ্ধি, র্যাব হেফাজতে হত্যাসহ নানান সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ যে প্রতিবাদ এর আগমন ঘটেছিল তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ছাত্রলীগের কিছু সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীর আক্রমণে বাধাগ্রস্ত হয়। অথচ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতীক নৌকার ভেসে বেড়ানো এখানো খুবই সাধারণ ও নৈমিত্তিক ঘটনার উপস্থিত পরিলক্ষিত করা যায়।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে আবার চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।
এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি। শোভাযাত্রায় দল মত নির্বিশেষে সব মানুষের ঢল নামে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন।