গরমে জীবন যেন আর চলে না। গ্রীষ্ম মৌসুমে তীব্র দাবদহের মধ্যেই পবিত্র রমজান মাসের মানুষ রোজা রাখছেন। সারাদেশে তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই বেড়েছে বিদ্যুতের ভোগান্তি। রাজধানীর বাইরে কুড়িগ্রাম-রংপুর- লালমনিহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর পাবনা, জয়পুরহাট, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, ময়মসিংহ, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় বেশ লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেত্রের ধানগাছ।
সারাদেশের কয়েকটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামে বিদ্যুৎ কখন আসে আর কখন যায় তা বলা দুষ্কর। গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা চলছে না। ঈদ সমাগত অথচ গরমের কারণে ক্রেতা মার্কেটমুখী হচ্ছে না। ভ্যাপসা গরম দুর্বিষহ জীবন। তীব্র গরমে সামান্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটও মানতে চাইছেন না গ্রাহকরা। আবার চাইলেই জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে চাহিদা মেটাতে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে।
বিদ্যুতের অভাবে ঈদ বাজারে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন অথচ বিদ্যুতের আসা-যাওয়া খেলায় অতিষ্ঠ মানুষ মার্কেটমুখী হচ্ছেন না। তাতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা। দাবদাহের তীব্র গরমে জনসাধারণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। সবার মুখে শুধু একিই কথা রোজার মাসে ইফতার, সাহরি তারাবীর সময়ও মিলছে না বিদ্যুৎ।
এদিকে বিদ্যুৎ লোডশডিংয়ের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন আবাসিক এলাকার বাসিন্দাসহ বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ সঙ্কটে ঈদের মৌসুমে বিপণিবিতানগুলোতে দুর্ভোগে পড়ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ভ্যাপসা গরমে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছে। হাসপাতালের রোগীরা গরমে চরম বিড়ম্বনা সহ্য করছেন।
সকালের সূর্য উদয় হচ্ছে আগুনের হলকা নিয়ে। দশটার মধ্যেই উত্তপ্ত হচ্ছে আবহাওয়া। সময় যত গড়ায় তাপদাহ ততই বাড়তে থাকে। এর সাথে মরা পদ্মার বিশাল বালিচর হচ্ছে তপ্ত কড়াই। সেখান থেকে ভেসে আসছে তপ্ত বালি। যা চোখে মুখে জ্বালা ধরাচ্ছে। সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে টিনের চালার ঘরের বসবাসকারী মানুষ। তাপ যেন টিন চুইয়ে নীচে নামছে। ফলে ঘরে থাকাও যেন দায় হয়ে পড়েছে।