স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফজরের নামাজ শেষে হারুন মাস্টার বাড়ির পাশে নদীর ধারে হাঁটতে গেলে তিনজন যুবক হঠাৎ তার ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নুসরাত তারিন জানান, নিহতের মাথা, ঘাড় ও শরীরে ছয়টি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
হারুন মাস্টার দোহার উপজেলার বাহ্রা গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন সরদারের ছেলে।
এদিকে, এলাকাবাসীর একাধিক সূত্র জানায়, নয়াবাড়ি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলছিল। পাশাপাশি স্থানীয় বালু ব্যবসা নিয়েও কিছু টানাপোড়েন ছিল।
খবর পেয়ে দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, পূর্বশত্রুতা বা দলীয় কোন্দল থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :