নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বশির উল্লাহ(এমএসসি) চাদপুরের ফরিদগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত আওয়ামী পরিবারের সন্তান বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের সু-দিনে নিজে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে করেছেন শৈশবের স্মৃতিচারণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে তার দেওয়া আবেগঘন স্ট্যাটাসটি সাড়া ফেলেছে জনমনে। যাকে ঘিরে এই স্ট্যাটাস, তিনি হচ্ছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী, ছাত্রলীগের সোনালী ফসল ও বাস্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সদস্য হাজী জেড এ জিন্নাহ।
যুবলীগ নেতার স্ট্যাটাসটি হুবহু তোলে ধরা হলো।
আমার জীবনে প্রথম ঢাকা যাওয়া হয় ১৯৯৬ সালে। তখন ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত। নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতাম। নানার বাড়ি লাউতলী আখন বাড়ি ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। ঐ বাড়ির সবাই বলতো হিন্দুর পোলা। এসব নিয়া খুব মন খারাপ করে অনেকেই গালমন্দ করেছি। বছর খানেক যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম কেন আমাকে হিন্দুর পোলা কইয়া ডাকে! কারন আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করতো।
বিশেষ অত্রএলাকায় দু- চার জনেই আওয়ামীলীগ সমর্থন করতো।
আমি প্রথম ঢাকা যাই ১৯৯৬ সালে ছোট মামার সাথে –
মামার বাসায় একা একা থাকতে ভাল লাগতো না। মামা ব্যপারটা বুঝতে পেরে আমাকে ওনার সাথে করে চক বাজারে নিয়ে যায়। তখন মামা তিব্বত রাবারের মার্কেটিং ম্যানেজার। মামাকে পুরো চক ও ছিদ্দিক বাজার থেকে ওয়াডার কাটা ও তাগাদা উঠাতে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা লেগে যেতো। আমাকে কোথায় রেখে যাবে ভাবনায় পড়ে গেলো মামা হঠাৎ করে বলে উঠলো বশির- আওয়ামীলীগ সমর্থন করে খুবেই ভালো মানুষ তুই ঐ দোকানে বসে গল্প কর, আমার দোকান দোকান যেতে হবে। আমিও শায় দিলাম। পরে দোকানে গিয়ে মামা পরিচয় করিয়ে দিল আমনের দলের লোক নিয়া আসছি। পরে দোকানদার জিগানোর আগেই মামা বলে উঠলো আমার ভাগিনা গ্রাম থেকে আসছে আপনার এখানে বসাই রাখেন। এই বলে মামা চলে গেলেন। তারপর আমাকে দোকানদার খুব আপ্যায়ন করলেন। এরপর শুরু হলো রাজনৈতি গল্প, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগের শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইতিহাস, তারপর আমাদের চাঁদপুরের অনেক নেতার কথা বলছে মামা তুমি ওনাদের চিনো? উত্তরে বলছি একজনকে চিনছি জাকারিয়া চৌধুরী। পরে একে একে প্রতিটি জেলার রাজনৈতিক অবস্থা বলতে শুরু করে আর কিছু সময় পর পর চা নাস্থা খেতে কোন দিক দিয়া সন্ধ্যা শেষ হয়ে রাত হয়ে গেলো টেরেই পাইনি। এভাবেই যতদিন ঢাকায় ছিলাম ততদিনেই ঐ দোকানে এবং লোকটির সাথে শুধু বঙ্গবন্ধু, আওয়ামীলীগ ও নেত্রীর কথাই বলতে বলতে সময় কাটতো। আর দোকানদার মহান মানুষটি হলো শ্রদ্ধেয় হাজী জেড এ জিন্নাহ। মামার হাত ধরেই পরিচয় তাই মামা বলেই ডাকি এখনো। তারপর তো ২০০৪ সালে অনার্সে পড়ার জন্য ঢাকা যাই। এরপর থেকেই জিন্নাহ মামার দোকানে প্রায়েই যাতায়ত হতো আর কতপোকতন হতো তিনশত আসনে কোথায় কার অবস্থান ভালো জিন্নাহ মামার কাছে মনে লেখা দলিল ছিল। জিন্নাহ মামা সব চোখ ভুঝেই বলে দিতো। আমি অবাক হতাম এতো লোকের নাম জানা! আজ উপলব্ধি করি ওনারাই আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগকে বাঁচিয়ে রাখছেন অনুভূতি দিয়েই।
জিন্নাহ মামা আপনার জন্য শত কোটি কোটি দোয়া করি আল্লাহ কাছে যেন আমার নেত্রীর কাছে আপনার দলের প্রতি অনুভূতি পৌছে দেয়। আর নৌকার নমিনেশন দিয়ে জনগনের সেবা করার সুযোগ দেয়।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এই ত্যাগী নেতা রাজনৈতিক অঙ্গনে এক পরিচিত মুখ। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সমাজ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্র জীবন থেকেই। তিনি বাস্তা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ৯৩ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, ১৯৯৭ সালে অবিভক্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক, ২০০৪ সালে ঢাকা জেলা যুবলীগের সহ প্রচার সম্পাদক এবং ২০০৫, ২০১৪ এবং ২০২০ সাল থেকে বর্তমান তিন দফা বাস্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি রাজাবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতিও ছিলেন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সদস্য।