নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গোপালগঞ্জের লোক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র করে বাড়ী, জায়গা দখলসহ নানা রকম প্রতারনা করে আসছিলো চক্রটি। এরই অংশ হিসেবে আজ ১১ জুলাই (রবিবার) সাভার মডেল থানাধীন গেন্ডা টিয়াবাড়ী এলাকার একটি ৯তলা ভবন প্রতারনা করে দখলের চেষ্টা করছিলো। ব্যাপারটি পুলিশের সন্দেহ হলে চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযনে সাভার ভাটারাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ভূমিদস্যূদের নেতৃত্বদানকারী মোঃ রাকিউল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত আঃ কাদেরসহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত চক্রের অন্য সদস্যরা হলো ২. নুর উদ্দিন ওমর (৪৫), পিতা-মৃত হায়েজ আহম্মেদ, সাং-বাতাকান্দি, থানা-সেনবাদ, জেলা-নোয়াখালী, এপি সাং-এ-৪৪/২ খিলখেত বাজার, থানা-খিলখেত, জেলা-ডিএমপি ঢাকা। ৩. মোঃ ইসরাফিল (২১), পিতা-মোঃ মতিন, সাং-বালাসুর, থানা-ফুলবাড়িয়া, জেলা-ময়মনসিংহ, এপি সাং-বনানী বিটিসিএল অফিসের সামনে, থানা-বনানী, জেলা-ডিএমপি ঢাকা। ৪. রাজু ইসলাম (২৩), পিতা-মৃত আব্দুল্লাহ, সাং-রামচন্দ্রপুর, থানা-পারবর্তীপুর, জেলা-দিনাজপুর, এপি সাং- বনানী বিটিসিএল অফিসের সামনে, থানা-বনানী, জেলা-ডিএমপি ঢাকা। ৫. মোঃ মমিন (২১) পিতা-জসিম উদ্দিন, সাং-বারারা হাজী বাড়ি, থানা-দেবীদ্দার, জেলা-কুমিল্লা, এপি সাং-ছায়াবিথি, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা। ৬. হাসান মেহেদী (২১), পিতা-আবুল কালাম, সাং-ইব্রাহীম পুর, থানা-বনানী, জেলা-ডিএমপি ঢাকা ছয় জনকে আটক করা হয়। তাহাদের নিকট হইতে অসংখ্য ষ্ট্যাম্প, সাইন বোর্ড, লোহার কাটার, লোহার রড ও লাঠিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
চক্রটি অতিরিক্ত সচিব, ডিআইজি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, গোপালগঞ্জ বাড়ীসহ বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাগনের নাম ও পরিচয় দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ফোন করে প্রভাব বিস্তার করে এই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। চক্রের বাকি সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম।