স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর, ২০২২ বুধবার প্রথমবারের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল কবির। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। মহামান্য চান্সেলরের প্রতিনিধি হিসাবে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, এমপি অনুষ্ঠানে ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে মাননীয় মন্ত্রী ১৫০ কেজি ওজনের কেক কাটেন। শিক্ষার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদের আনন্দঘন পদচারনায় সকাল থেকে প্রায় রাত আটটা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছিল মুখরিত। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মনমুগ্ধকর আতশবাজি ছাড়াও আরো বিভিন্নরকম আয়োজন ছিল।
উক্ত সমাবর্তনে প্রায় ২০০০ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে ৬৫ জন পদকধারীর মধ্যে আইন বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ফলাফলের ভিত্তিতে ডিন এওয়ার্ড প্রাপ্ত হোন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রণব সাহা। প্রণব সাহা স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ২০২০ সালে আইন বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে এলএলবি শেষ করেন সিজিপিএ ৩.৯৯ রেজাল্ট নিয়ে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এলএলএম শেষ করেন সিজিপিএ ৩.৭৫ রেজাল্ট নিয়ে।
প্রণব সাহার বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার কলাকোপা গ্রামে, বর্তমানে তিনি পেশাগত কারণে ঢাকা সিটিতে বসবাস করেন। তিনি দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি এবং হরে কৃষ্ণ কুসুম কলি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ গ্রেড পেয়ে পাশ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে একটি সুনামধন্য ল চেম্বারে কর্মরত আছেন।
ডিন এওয়ার্ড পাওয়ার পর প্রণব সাহা বলেন,
মেধা বলতে কিছু নাই ,পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। শুধু ট্যালেন্ট দিয়ে সব হয়ে গেলে, যে ফার্স্ট হয় তাকে ক্লাসে যাওয়া লাগতো না। এক সপ্তাহ হাসপাতালে ঘুরাঘুরি করে ডাক্তার হওয়া গেলে, পাঁচ-ছয় বছর ধরে, মোটা মোটা বই কেউ পড়তো না। তিন-চারবার ব্যর্থ হয়ে ছেড়ে দিলে, সেরা ক্যাপ্টেনের দেখা বাংলাদেশ পেতো না।
দুনিয়ার কেউই শর্টকাটে সফল হতে পারে না। আপনিও পারবেন না। তাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন না দেখে, সফল হতে চেষ্টা করতে হবে, সাধনা করতে হবে। ভোর হওয়ার আগেই যে সাধনা শুরু করবেন, রাত গভীর হওয়ার পরেও যার চেষ্টা চলতে থাকবে, সে সফল হবেই। দুনিয়াতে ট্যালেন্ট বলতে কিছু নেই। জীবনে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করতে হবে, তবেই জীবনে সফলতা আসবে।
কষ্টের ফলস্বরূপ সম্মাননা পেতে ভালোই লাগে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বাবা মা কে গর্বিত করতে পেরে। আমার পরিবার, শিক্ষকবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। আমার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য আর্শীবাদ করেন।