নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নে। ১১ টি ইউনিয়নে ৮ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সবার দৃষ্টি এখন হযরতপুর, বাস্তা ও শাক্তা ইউনিয়নকে ঘিরে। এর মাঝে সব চেয়ে বেশি উৎসব লক্ষ্য করা গেছে হযরতপুর ইউনিয়নেই। ইউনিয়নটিতে মূলত আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আয়নালের নৌকা প্রতিক ও আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা আলাউদ্দিনের ঘোড়া প্রতিকের মধ্যেই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দিনব্যাপী ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আয়নাল। চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, হাট বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু কেবলমাত্র নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান পদ ঘিরেই আর্বতিত হচ্ছে। ইতমধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আয়নাল প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ভোটারদের দৃস্টি আকর্ষণ এবং আলোচনায় উঠে আশার চেস্টা করছে।
এই মুহূর্তে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে আগের ২ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন আয়নাল। তিনি পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনৈতিক আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে অনেক ঝড়- ঝাপটা বইয়ে গেছে, কিন্ত আনোয়ার হোসেন আয়নাল এর পরিবার কখানোই আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্যুত হয়নি।
তাছাড়া তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আহবায়ক ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, যুগ্ন-আহবায়ক শফিউল আজম খান বারকু, আলতাফ হোসেন বিপ্লব, হাজী সাকুর হোসেন সাকু, মোশাররফ হোসেন ফারুকসহ উপজেলার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ভোটারদের সাথে কথা বলেও জানা গেছে তারা আনোয়ার হোসেন আয়নালকেই নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আবারও চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসাবেন। তারা উগ্রবাদী, জবরদখলকারী, মাদক কারবারিদের ভোট দিবেন না। হযরতপুরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা আনোয়ার হোসেন আয়নালকেই চান ইউনিয়ন পরিষদে।
আনোয়ার হোসেন আয়নাল লংকারচরের একটি পথ সভায় বলেন, জনগণ সুযোগ দিলে আমি তাদের সেবা করতে চাই। আমি ভালো লোকের ভোট চাই, কোন উগ্রবাদী, জবরদখলকারী, মাদক ব্যবসায়ীদের ভোটে আমি চেয়ারম্যান হতে চাইনা। দয়া করে আমাকে কোন মাদক ব্যবসায়ী ভোট দিবেন না। আর আমি নির্বাচিত হলে এবার হযরতপুর থেকে মাদককে চিরতরে বিদায় করবো ইনশাআল্লাহ।