শামসুল ইসলাম সনেটঃ সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে ছিটকে গেছে ভারত! অ্যালেক্স হেলস ও জশ বাটলারের রেকর্ড ১৬৯ রানের অবিশ্বাস্য জুটি ইংল্যান্ডকে নিয়ে গেছে ফাইনালে, যেখানে আগে থেকেই বসে আছে ভারতের জাত শত্রু পাকিস্তান।
কাগজে-কলমে এগিয়ে থাকা টি-২০ ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষক ভারত হেরে যাওয়ার পর থেকে সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে হাস্যরস ও আক্রমনাত্মক নানা ট্রল। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা ভারত কে ধুয়ে দিচ্ছে, বিদ্রুপের শিকার হচ্ছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা থেকে শুরু করে আম্পায়ার এমনকি আইসিসিও।
ঢাকা থেকে আহমেদ রাজু লিখেছেন, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা উচিৎ। তারা বেইমানী করে হারালো ভারতকে।
আহমেদ ফিরুজ লিখেছেন, একটা দল আছে কমিটির টিম, তারা যে কয়বার ষড়যন্ত্র করে পরের রাউন্ডে গেছে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় তারা পরের রাউন্ডে বাদ পরে যায়!
হাসান মাহমুদ লিখেছেন, দুই একটা পায়ে লাগা এলবি দিয়ে দিবো, এটাও না পারলে আর কি করার? ইংলিশদের মায়া দয়া নাই, তারা আগে থেকেই খারাপ।
আবু আব্দুল্লাহ লিখেছেন, আজ ইন্ডিয়া প্রতারণার পথ খুজে পাচ্ছেনা কারণ পারতপক্ষতো আর বাংলাদেশ না! বাপের উপরও বাপ আছে।
চট্রগ্রাম থেকে রাবিব লিখেছেন রবি শাস্ত্রী আর পুরো অ্যাডিলেডের ৯০% ভারত সমর্থক চুপ হয়ে গেসে। মনে হচ্ছে কোনো শোকসভা! চুরি বাংলাদেশের মত টিমের সাথে করা সম্ভব মোড়লদের সাথে নাহ। ইন্ডিয়ার চেয়েও আজ বেশি কষ্ট পাবে টাকার কুমির আইসিসি।
ধন্যবাদ ইংল্যান্ড শব্দ দূষণ থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য।
তাছাড়া শতশত ক্রিকেট ভক্ত তাদের ফেইজবুক ওয়ালে ঈদের বাকা চাঁদের ছবির সাথে জুড়ে দিয়েছে ঈদ মোবারক লিখাও। কেউ কেউ ভারতকে বলছে কমিটির টীম।
তবে অনেকেই এসব ভক্তদের আবার রাজাকার পাকিস্তানি বলে সম্বোধন করছে। তাদের দেশ ছেড়ে পাকিস্তান যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
ক্রিকেট বোদ্ধারা বলছেন নিকট অতিতে বাংলাদেশ- ভারতের মধ্যকার অনুষ্ঠিত খেলায় পক্ষপাতিত্বই এর জন্য দায়ী। এক যুগ আগেও বাংলাদেশে ভারত পাকিস্তানের সমর্থক ছিলো সমানে সমান। গ্রামাঞ্চলে ভারত-পাকিস্তান গ্রুপ করে হতো টুর্নামেন্টও, যা এখন দেখা যায় না। তবে পাকিস্তানের প্রতিও সমর্থন কমেছে অনেম। এভাবে চলতে থাকলে হারে যাবে ক্রিকেট, রয়ে যাবে ইতিহাস।