কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে বুড়িগঙ্গার তীরে ইটবালু ব্যবসা করার জন্য সরকারি বাগান কেটে রাস্তা বানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগানের
ভেতরে থাকা গাছ কেটে কয়েকটি সরু রাস্তা বানিয়ে ইট বালু পাথর আনা-নেয়া করছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। এছাড়াও বাগানের ভেতর ইটবালুর গদি বসিয়েছেন একজন। আরেকজন বাগানের ভেতর কয়লা রেখে ব্যবসা করছেন। অভিযোগ উঠেছে, মিজান নামে এক ব্যক্তি বিআইডব্লিউটিএর লোক পরিচয় দিয়ে রাস্তা ব্যবহার বাবদ এসব
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করে থাকেন জানা যায়, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর পোস্তগোলা সেতুর নিচে হাসনাবাদ নাইয়াটোলা মৌজায় নদী তীরের ৬৪ শতাংশ ওই জমিতে কয়েক লাখ টাকা খরচ
করে কয়েশ শত গাছের চারা রোপন করে একটি বাগান সৃজন করে বিআইডব্লিউটিএ। কয়েক মাসের ব্যবধানে বাগানটি দৃষ্টিনন্দন রুপ ধারন করে এবং নদী তীরের সৌন্দর্য্যবর্ধন করে। কিন্তু সম্প্রতি নদী তীর থেকে আড়াআড়ি বাগানে কেটে ভেতর দিয়ে ৪টি রাস্তা বানায় ইটবালু ব্যবসায়ীরা। আর এজন্য বিআইডব্লিউটিএর লোক পরিচয় দেয়া মিজান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের মাসোহারা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী মিজান
ইটবালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যান। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদী তীরের ইটবালু পাথর ব্যবসায়ী
লাকি, সাকু, ইউসুফ সরদার, রানা, লাট মিয়া, আ: রাজ্জাক বাগান কেটে রাস্তা নির্মানের সঙ্গে জড়িত। বাগানের ভেতর রাস্তা নির্মান এছাড়াও বাগানের ভেতর একটি সিফটিনের গদি ঘর বানিয়েছেন আ: আজিজ।
বাগানের পশ্চিমাংশে শেষের দিকে ভেতর কয়লা রেখে ব্যবসা করছেন আব্দুল হামিদ। জানা গেছে, বাগানের ভেতর কয়লা রেখে ব্যবসা করা বাবদ তিনি মিজানকে মাসে ৬ হাজার টাকা দেন।
ঢাকা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, মিজান নামে তাদের কোন ষ্টাফ নেই। আমরা বাগানের ভেতর দিয়ে রাস্তা করার
অনুমতি দেইনি। শুনেছি মিজান নামে এক ব্যক্তি বিআইডব্লিউটিএ পরিচয় দিয়ে এখানে চাঁদাবাজি করছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে এবিষয়ে আমরা একটি লিভিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দুইজন
কর্মকর্তাকে বুধবার ঘটনাস্থলে পাঠানো
হয়েছিল। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর বাগানের ভেতর দিয়ে যে রাস্তা বানানো হয়েছে, সেটিও বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।