নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কাজি আব্দুস সোবহান। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ছিলেন সেনাবাহিনীর সামান্য একজন সৈনিক। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পরে রাতারাতি তার অর্থনৈতিক উথান হয়। সৈনিক থেকে বনে যান কোটিপতি আব্দুস সোবহান। অবৈধভাবে কোটিপতি হয়েই রাজনীতি করার মনবাসনা জাগে সোবহানের। পরে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে জেলা মৎস্যজীবী লীগের পদ কিনেও ধরা খান। তার সর্বাঙ্গে যেন প্রতারণায় ভরপুর। প্রতারণাই তার পেশা।
অভিযোগ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অবৈধভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে শত কোটি টাকার বিদেশী পন্য বিনা শুল্কে খালাশ করেই সোবহানের অর্থনৈতিক উথান শুরু হয়। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা দিয়েই নামে বেনামে গড়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতারনার মাধ্যমে এমএলএম ব্যবসা করে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই নাম সর্বস্ব গ্রুপের চেয়ারম্যান।
জানা যায়, সোবহান ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে ধরা পড়েন। ওই ঘটনায় করা মামলায় তার সাজা হয় এবং ১ বছর কারাবরনও করেন। এর কিছুদিন পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো প্রতারনা শুরু করেন তিনি।
এ বিষয়ে আব্দুস সোবহান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।