নগরকান্দায় নৌকার মনোনয়ন বানিজ্যের অভিযোগ

1944

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী তার মা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে দুই উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের সম্ভাব্য সকল প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলেই জয়লাভ নিশ্চিত- এমন ধারণা দিয়েই প্রার্থীদের কাছ থেকে ডিও লেটারের বিনিময়ে ১৫ লাখ করে টাকা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে দলের যোগ্য ও ত্যাগী প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে উপায় না পেয়ে ইতোমধ্যে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ারও প্রস্তুতি নিয়েছেন। এতে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রত্যেক ইউনিয়নে একক প্রার্থীদের নামে সংসদের ডিও লেটার দেয়ায় চরম অশন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য সকল প্রার্থীরা। সংসদ পুত্রের ডিও লেটার দেয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য প্রার্থীরা।

১৫ লাখ টাকা দিয়ে সংসদের ডিও লেটার নিয়েছেন যারা:

নগরকান্দা -১.তালমা ইউনিয়ন- উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী রাজাকার পুত্র ফিরোজ খান। ২. রামনগর – সাবেক বিএনপি নেতা মান্দার ফকির। ৩. পুরাপাড়া- জামায়াত নেতা আতাউর রহমান বাবু ফকির। ৪. চরযশোরদী- কামরুজ্জামান সাহেব ফকির। ৫. কাইচাইল- মস্তোফা খান। ৬. লস্করদিয়া- দেলোয়ার ফকির। ৭. ফুলসুতি- আরিফ হোসেন। ৮. কোদালিয়া শহীদনগর- জাকির হোসেন নিলু। ৯. ডাঙ্গী- কাজী আবুল কালাম।
সালথা – ১. গোট্টি- হাবিবুর রহমান লাবলু। ২. রামকান্তপুর – মো. আশরাফ আলী। ৩.আটঘর- মো. ফকরুজ্জামান। ৪.ভাওয়াল- আব্দুল ওয়াহাব মাতুব্বর। ৫.সোনাপুর- সোহেল রানা। ৬.যদুনন্দী- নান্নু মিয়া আলমগীর। ৭. বল্লোভদী- কাজী সাইফুর শাহিন। ৮.মাঝারদিয়া – গিয়াস উদ্দিন।

এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া বলেন, লাবু চৌধুরী মাননীয় সংসদের অসুস্থতাকে পুজি করে প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে একক প্রার্থীদের মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ১৫ লাখ করে টাকা নিয়ে ডিও লেটার দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির পদধারি নেতা ও রাজাকার পুত্র, বিএনপি-জামায়াত ঘরনা, হাইব্রিড এবং গত নির্বাচনে নৌকা বিদ্রোহ করেছে এমন প্রার্থীও রয়েছে। এ বিষয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিনয়ে অনুরোধ করছি তিনি যেন সৎ, যোগ্য, ত্যাগী পরিক্ষিত আওয়ামী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের দলীয় মনোনয়ন দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মান্নান মোল্লা বলেন, লাবু চৌধুরীর ধানমন্ডির বাসায় লেনদেন হচ্ছে বলে শুনেছি। আমাকে একজন প্রার্থী জানিয়েছেন লাবু চৌধুরী তার মনোনয়ন কনফার্ম করেছে। সাজেদা আপার এপিএস সফির মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে।

চরযশোরদী ইউনিয়নের আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলোয়ার হোসেন বিশ্বাস বলেন, আমি দীর্ঘদিন আ.লীগের রাজনীতি করি। লাবু মামার সাথেও আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবুও টাকা দেইনি বলে উপজেলা কমিটি স্বাক্ষরিত সুপারিশে তিনি আমার নামটি পর্যন্ত রাখেনি।