তারানগরে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা

283
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১১ ফেব্রুয়ারী(শুক্রবার) তারানগর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী মোঃ হারুন মেম্বার ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বাড়ীতে ও অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও একাধিক সমর্থককে মারপিটে অভিযোগ করেছেন পরাজিত প্রার্থী শামসুল আলম। তিনি জানান, হারুন একজন অসৎ মানুষ, এলাকার যত মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সব কিছুর পিছনে সে। সে অসৎ পন্থায় বিজয়ী হয়ে বিজয় মিছিলের আড়ালে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তাদের মারপিট করেছে। এতে মহিলাসহ আমার ১০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তবে হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে বিজয়ী প্রার্থী মোঃ হারুন মেম্বার। তিনি জানান, পরাজিত প্রার্থী সামসুল আলম বড়ইকান্দী গ্রামের যারা আমাকে ভোট দিয়েছে তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করছিলো। পরে তারা আমাকে ব্যাপারটি জানালে আমি নিজে এসেও তাদের আক্রমণের শিকার হই।
এদিকে নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পর হেরে যাওয়া প্রতিপক্ষ প্রার্থীর অফিস ভাংচুর ও এলাকার সাধারণ মানুষের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে একালাবাসী।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারী ( শনিবার) বিকালে উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের মেম্বার বড়ৈকান্দি এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। গ্রামের তিন শতাধিক নারী পুরুষ ঘন্টাব্যাপি রাস্তায় দাড়িয়ে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। মানববন্ধন থেকে হারুন মেম্বারকে বড়ৈকান্দী গ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।বিজয়ী প্রার্থী মোঃ হারুন ও পরাজিত প্রার্থী মোঃ শামসুল আলম
তারানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ১০ তারিখে নির্বাচনের পর ১১ তারিখ বিকালে হারুন ও তার লোকজন বিজয় মিছিল নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে আমার অফিস কার্যালয়ের সামনের কাঁচ ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাঙুর করে। এসময় এলাকাবাসী বাঁধা দিলে হারুন মেম্বর ও তার সাথে থাকা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তার লোকজন এলাকাবাসীর উপর চড়াও হয় ও বেধরক মারধর করে। তারানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও তারানগর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন শাকিল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু সালাম মিয়া জানান, এলাকা এখন শান্ত। গতকাল ও আজ যে ঘটনা ঘটেছে পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর ঘটবেনা মর্মে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। আর কোন অপ্রিয়কর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই।