নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান থেকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলার হাজিরা দিতে যাওয়া প্রতিপক্ষ ১০ জনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সামেদ আলী ও তার পাঁচ ছেলের বিরুদ্ধে। সামেদ আলী নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার আকবর নগর গ্রামের চিহিৃত ভূমিদস্যু-সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে হাজিরা দিতে যান সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের আকবর নগর গ্রামের হাজী নাসির উদ্দিনের ছেলে বুলবুল আহমেদ, মোঃ ইমরান, হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ নুর,হাজী আব্দুল আলীর ছেলে মনির, জাকিরসহ আরও কয়েকজন।
এসময় কোর্টের বাহিরে আগেই ওতপেতে থাকা সামেদ আলীর পাঁচ ছেলে মো. গনী, আরিফ, সজিব,রাজিব, হৃদয়, ভাতিজা জাহিদসহ তাদের ভাড়াটিয়া ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। এতে বুলবুল,সাজ্জাদ নুর,মনির,সুমন, ফারুক, ও শহীদ গুরুতর আহত হয়। আহতদের প্রথমে নিকটস্থ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত সাজ্জাদ নুর জানান, আমরা একই দিনে চার টি মিথ্যা মামলার হাজিরা দিয়ে কোর্টের গেট থেকে বেড় হয়ে গাড়ীর জন্য দাড়িয়ে ছিলাম, কিছু বুঝে উঠার আগেই সামাদ আলীর পাঁচ ছেলে, ভাতিজা ও তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমাদের পরিবারের ১০ জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়।এবং সকলেই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাছাড়া অনেকের হাত-পা ভেঙে গেছে। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সামেদ আলী ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকউলজ্জামান জানান, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অনেকে নাকি হাসপাতালেও ভর্তি আছে।