নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগ সভাপতি ইমাম হাসানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা চাদা দাবি, ভাংচুর ও ড্রেজার পাইপের নাট-বল্টু চুরির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন এহসান উদ্দীন আহম্মেদ নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আওয়ামীলীগ নেতা ঐ ব্যবসায়ী।
মামলার এজহারে সূত্রে জানা গেছে, এহসান উদ্দীন কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ড্রেজার দিয়া যৌথভাবে বালু ভরাট এর কাজ করে। বর্তমান তার ড্রেজারটি কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আতাশুর কালিন্দী মডেল টাউন এর প্রজেক্টে বালু ভরাটের কাজের জন্য পাইপ লাইনের কাজ চলমান রয়েছে। গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যা অনুমানিক ৭ টার সময় কালিন্দী হাজী আলতাব এর বাড়ীর সামনে রাস্তায় ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেন আমার ব্যাসায়িক অংশীদার পিন্টু, মাসুম সহ আমাকে পেয়ে কালিন্দী মডেল টাউন এর প্রজেক্টে বালু ভরাটের বিষয়ে কথা বলে।
ইমাম হাসান আমাদের বলে উল্লেখিত প্রজেক্টে তারা বালু ভরাট করবে। আমাদের ড্রেজার ও পাইপ লাইন সরাইয়া নিতে বলে। আমরা আসামীদ্বয়কে বলি উক্ত প্রজেক্টে বালু ভরাটের জন্য প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে চুক্তিপত্র করেছে। তখন উক্ত আসামীদ্বয় বলে যে, উক্ত প্রজেক্টে বালু ভরাটের কাজ করতে হইলে তাদের পঞ্চাশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে, না হলে বালু ভরাটের কাজ করতে দিবে না।
তাদের চাদা না দিয়েই আমরা উক্ত প্রজেক্টে বালু ভরাটের জন্য পাইপ লাইন এর কাজ চলমান রাখলে গতকাল বিকালে মডেল থানা ছাত্রলীগ সভাপতি ইমাম হাসান (৩২), শিমুল (৩২), খান মন্টি (২৭), অনিক (৩৬), ইমাম হোসেন (৩২), সহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জন আসামী লাঠিসোঠা, চাকু, লোহার রড, নাট খোলার ডালি/ স্লাই নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন মুসলিমাবাদ মাঠের দক্ষিণ পাশে এনায়েত হাজীর প্রজেক্টের পাশ ফাঁকা জমি দিয়া নেওয়া পাইপ লাইন এর নিকট গিয়ে আমাদের ড্রেজারের বালু নেওয়ার জন্য ৪০০ ফুট বিস্তৃত লোহার পাইপ এর সাথে থাকা বাঁশের তৈরী চেঙ্গি কোপাইয়া কেটে ফেলে এবং লোহার পাইপ খুলিয়া ফেলে। এতে প্রায় এক লক্ষ ষাট হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ সময় ড্রেজারের পাইপ লাইনের কাজে নিয়োজিত মোঃ আশিক আমাকে সংবাদ দিলে আমি তাৎক্ষনিক পিন্টু, মাসুম সহ পরিচিতি লোকজন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই।আসামীদের পাইপ খুলতে বাধা দিলে তারা আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে আসামীরা লোহার পাইপ এর সাথে থাকা লাগানো নাট-বল্ট চুরি করিয়া নিয়া যায়।
অভিযুক্ত ইমাম হাসানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, চাদাবাজির বিষয়টি মিথ্যা। আলোচনায় আসার জন্য এই ধরনের নিউজ করে মানুষ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত রাতে একটা অভিযোগ পেয়েছি। মামলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।