কেরানীগঞ্জ করেস্পন্ডেটঃ ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর (করেরগাও) এলাকায় মারামারির ঘটনার তিনদিন পর গাজী শহিদুল্লাহ নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর(সোমবার) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় তার ছেলে, ভাগিনা ও নাতী আহত হয়েছে।
জানা গেছে গত তিন মাস আগে ইন্টারনেট বিল নিয়ে ঝগড়া হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী শহীদুল্লাহর নাতি মোঃ নাদিম ও আসামি মমিন গংদের মধ্যে। সেই সূত্রে গত ১৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) উপজেলার আব্দুল্লাহপুর স্বদেশ হাসপাতালে রক্তদিতে আসা নাদিমের উপর আক্রমণ করে আসামিরা। খবর পেয়ে নাতিকে রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ, তার ছেলে মাসুমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ হাসপাতালে গেলে তাদেরকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আসামি মমিনের হাতে থাকা ক্রিস দিয়ে আবিদের শরীরের তিন জায়গায় রক্তান্ত জখম করে, পাশাপাশি বিবাদীরা তার ছেলে মাসুম,ভাগিনা সাইফুলের শরীরেও ধারালো ক্রিস দিয়ে আঘাত করে।
ঝগড়ার এক পর্যায় বিবাদী তাজ উদ্দিন ও আলতাফ চাকু দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহর পেটের বাম সাইডে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং তাদের সাথে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়।
পরে তাদের ডাক চিৎকারে আসেপাশের লোকজন স্বদেশ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী নিয়ে আসেন। ঘটনার দুইদিন পর অর্থাৎ গত সোমবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে আজগর আলী ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তবে আসামি পক্ষ বলছে এ এসব ষড়যন্ত্র। মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লার হার্ট অ্যাটাক মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সত্য বেরিয়ে আসবে বলেও জানায় তারা।
এব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, এব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রধান আসামদের মাঝে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদেরও আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।