কেরানীগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলকে রাজকীয় বিদায়

124
শামসুল ইসলাম সনেটঃ থানার প্রধানকর্তাসহ সকল অফিসাররা পায়ে হেটে যাচ্ছেন সামনে পেছনে, আর একজন সাধারণ পুলিশ কনস্টেবল সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফিরছেন। রাস্তার দুই ধারে শত শত মানুষ তাকে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানাচ্ছেন, নিচে লাল কার্পেট আর উপরে ফুল বৃষ্টি দেখে মনে হতে পারে এটা কোন চলচিত্রের শুটিং, কিন্তু না এটা বাস্তব ঘটনা।
এমন ঘটনার সাক্ষি ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মুকবুল হাওলাদার। ১৯৮৩ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আটি গ্রামে বাসিন্দা মোঃ কালু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন। দীর্ঘদিন পুলিশ কনেষ্টেবল হিসেবে মানুষকে সেবা দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন থানায়, সর্বশেষ গত ৪ মাস আগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় যোগদেন মানবিক এ পুলিশ সদস্য।
সোমবার (২ জনোয়ারি) সরকারি চাকরির শেষ দিন ছিলো তার। সাধারণত পুলিশ কনস্টেবলদের চাকরিতে যোগদান বা বিদায় বেলা থাকেনা কোন আনুষ্ঠানিকতা। তবে এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে তার বেলায়। সহকারী পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ এর উদ্যোগে এক রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় অবসর জনিত কারণে বিদায় নেওয়া পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ মকবুল হাওলাদারকে।
সংবর্ধনা উপলক্ষে দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা প্রাঙ্গণে এক বিদায় সভার আয়োজন করে থানা পুলিশ। এতে মকবুল হাওলাদারকে লালগালিচা সংবর্ধনা ছাড়াও ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মান জানানো হয়। পরে ফুল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি করে থানা থেকে জিনজিরা বাজার, জনি টাওয়ার, কদমতলী হয়ে তার ভাড়া বাসায় পৌছে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন অর রশিদ জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু, সে বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে মকবুল হাওলাদার। তাকে আমরা এমন সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরাও গর্ভিত। এর ফলে পুলিশের মাঝে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা বাড়বে।