কেরানীগঞ্জে গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল

1502
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ বাঘাপুর এলাকায় মোসা. মারিয়ার (২২) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যূ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টায় ওই নারীর ফাঁসিতে ঝুলানো মরহদেহ উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে স্বামী স্বাধীন(৩০) পলাতক রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত মারিয়ার  চাচা সালাউদ্দিন মিয়ার দাবি, তার ভাতিজিকে পরিকল্পীতভাবে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার ভাই গরিব মানুষ, অন্যের বাড়ি ভাড়া থাকে। আমাদের মেয়েকে তার স্বামী স্বাধীন অনেক দিন ধরে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে আসছে। মেয়েকে রেখে তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। এনিয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্ব হতো। ঠিকমতো ভরণ পোষণ দিতোনা।
 অনেক লোক বলছে, আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এদিকে মারিয়ার স্বামী ও স্বজনদের দাবি, মারিয়া ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা সুনিদিষ্টভাবে বলতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়,  কেরানীগঞ্জ মডল থানাধীন রুহিতপুর ধমশুর এলাকার মো. গগণ মিয়ার মেয়ে মোসা. মারিয়া ৪ বছর আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ বাঘাপুর এলাকার ভাড়াটিয়া মৃত. বাবুল ছেলে গাড়ি চালক মো. স্বাধীন (৩০) সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের ঔরস্যজাত আড়াই বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। দক্ষিণ বাঘাপুর আলাউদ্দিন মেম্বারের ভাড়া দেওয়া বাড়িতে তারা থাকতো। তিন রুমের এক দুচালা ঘরের এক রুমে স্বামী স্বাধীন পরিবার নিয়ে বসবাস করতো। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) শাহ জামান। স্বামী পলাতক থাকায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে হত্যার কারণ জানা যাবে বলেও জনান তিনি।