নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকার ঘোষিত একদিনে কোটি টিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষকে করোনা ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ মোট ১৩টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা কার্যক্রম চলে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কোন রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে টিকা দিতে পাড়ায় প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ছিলো নানা শ্রেনী-পেশা মানুষের উপচে পড়া ভীড়। অতিরিক্ত গাদাগাদির কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তেও দেখা গেছে। দীর্ঘ লাইনে জায়গা না হওয়ায় অনেকে বাড়ি ফিরে গেছে টিনা না দিয়েই।
রোহিতপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা দিতে আশা নাজমা বেগম জানান, সকাল বেলা না খেয়ে টিকা দিতে আসছি, শুনেছি আজকের পর নাকি আর টিকা দেওয়া যাবেনা, তাই অপেক্ষায় আছি। যত সময় লাগুক আজ টিকা নিয়ে যাবো।

একই চিত্র হযরতপুর, কলাতিয়া, শুভাঢ্যা, আগানগর,কোন্ডাসহ প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে।ইউনিয়ন ভিত্তিক কেন্দ্রেগুলোতে দুই হাজার টিকার ব্যবস্থা থাকলেও প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিলো চার/পাঁচ হাজার বা তার চেয়ে বেশি লোকের উপস্তিতি। সেবা প্রার্থীদের সুশৃঙ্খল রাখতে বেগ পেতে হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। কিছু জায়গায় আগতদের উপর চড়াও হতেও দেখা গেছে পুলিশকে।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান জানান, কেরানীগঞ্জে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বসবাস। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আমরা ইতোমধ্যেই চার লক্ষ তিরানব্বই হাজার মানুষ কে প্রথম ডোজ(যা প্রাপ্ত লোকের ৭৭%), ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৩১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ(প্রাপ্ত লোকের ৫৫%) এবং ১৭ হাজারের অধিকজনগোষ্ঠীকে তৃতীয় ডোজ দিতে পেরেছি। আমাদের এ গণ টিকার কার্যক্রম আরও দুই দিন(২৭ ও ২৮ তাং) চলবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান জানান, সরকারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা মওজুদ রয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমরা কোন প্রকার অরাজকতা ছাড়াই ভ্যাক্সিন দিতে পেরেছি। যতদিন উপজেলার প্রতিটি মানুষকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা না যাবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দেশের একটি মানুষও টিকার বাহিরে থাকবেনা।