কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঢাকার কেরাণীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা জেলা ডিবি ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার যৌথ অভিযানে এসময় বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলার ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস রিলিজে জানানো হয় যে, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত অনুমান ২.৩০ মিনিটের দিকে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নতুন সোনাকান্দা গ্রামে জনৈক বেলায়েত হোসেন এর বাড়ীতে অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা প্রবেশ করে বাড়ীর সকলকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে মারধর করে মোবাইল ফোন , স্বর্ণলাংকার , নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় ।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
মোঃ শাহাবুদ্দিন কবীর (কেরাণীগঞ্জ, সার্কেল)ঢাকা এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ আরাফাত হোসেন , (ডিবি ঢাকা জেলা দক্ষিণ) এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ রাজীব হোসেন , এসআই মোঃ আল আমিন হাওলাদারের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম উক্ত মামলার রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম শুরু করে।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ডাকাত মনির ওরফে ছোট মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলের দলনেতা আনোয়ার হোসেন ফকু সহ দলের সদস্য মীর্জন খালাসী, রহুল আমিন , মজিবুর ওরফে টিক্কা ও রাকিবকে ঢাকা জেলা ও তার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় । তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তারা নদী পথে ঢাকা,মুন্সিগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ডাকাতি করে আসছিলো। এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রেস রিলিজে আরও জানানো হয় যে,অপর একটি গত ২১ নভেম্বর রাত অনুমানিক ৯ টার দিকে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পাইকশা গ্রামে নবাবগঞ্জ-দোহার সড়কে জনৈক মোঃ রহমত উল্লাহর পিকআপ গাড়ী আটকিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর করে নগদ টাকা , স্বর্ণলাংকার , মোবাইল , কাপড় সহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত আজিজ , বিপ্লব জমাদ্দার ওরফে বেলায়েত ও মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার করেরগাঁও এলাকায় একাধিক অপরাধ সংঘটনের কথা স্বীকার করে । পাশাপাশি একই থানার একাধিক মামলায় সরাসরি জড়িত মর্মে স্বীকার করে । ডাকাতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে ।