কেরানীগঞ্জে আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধঃ অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম

613

কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে দুই মেরুতে থাকা কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছে। আজ ২০ অক্টোবর(বুধবার) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন পরবর্তী অনুষ্ঠানে ঐক্যের ঘোষণা দেন ঢাকা-২ এর সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শাহীন আহমেদ। কামরুল ইসলাম বলেন, কেরানীগঞ্জের আওয়ামীলীগ আজ নতুন দিগন্তে প্রবেশ করলো। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করবো। তিনি আরও বলেন,ষড়যন্ত্র থেমে নেই, ষড়যন্ত্র চলছে যা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয়েছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তবুদ্ধির মানুষকে নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে দেশ থেকে বিতারিত করেছে। খুন, নির্যাতন এগুলো তাদের পুরানো স্বভাব। আগামী নির্বাচন কে সামনে রেখে তারা আবারও সংখ্যালুদেরকে আক্রম করছে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিএনপি এমন একটি দল যে দলে একটা নেতা নির্বাচন করার মত কোন লোক নেই, তারা জানে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে তাই তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করছে। সম্প্রতির রক্ষায় নৌকায় ভোট দেওয়ার বিকল্প নেই।আপনারা কেউ ঘরের বিতরে ঘর নির্মাণ করবেন না,দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার হয়ে সবাই কাজ করবেন। আমরা কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ থানা মিলেমিশে সকল অরাজকতা বিনষ্ট করে নৌকার প্রার্থীদের নির্বাচনে বিজয়ী করবো ইনশাআল্লাহ।

প্রধান অতিথির ভাষণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংসদ (জামালপুর-৩) মীর্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আবদারেই মাওলানা ভাষানী আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, বঙ্গবন্ধুই আওয়ামী লীগের স্বপ্ন স্রষ্টা। তিনিই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশকে স্বাধীন করেছেন। তাই জনগণ সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালেই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার কথা ছিলো কিন্তু কারচুপির করে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেও জিয়ার মত হত্যার রাজনীতি শুরু করেন। তাই ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেকে ক্ষমতায় আনে। ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে সোনার বাংলাদেশে রুপান্তরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

দেশের অগ্রগতি তাদের পছন্দ না, তাই তারা বারবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেষ্টা করেছে আর আল্লাহ নিজে এসে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছেন। কারণ আল্লাহ পাক জানতেন শেখ হাসিনার মৃত্যু হলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হবেনা, তার মৃত্যু হলে ক্ষুদা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ হবেনা, রাজাকারদের বিচার হবেনা। তাই আল্লাহ তাকে বারবার রক্ষা করেছেন। আজ শেখ হাসিনার কারণেই আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, গ্রামে পাকা রাস্তা, বাড়ীতে পাকা বিল্ডিং ভালো টিনের ঘর ইত্যাদি। যারা পায়ে হেটে চলতো তারা আজ সাইকে চড়ে, যারা সাইকেল চলতো তারা মোটরসাইকেলে চলে, মোটরসাইকেলের মালিকরা আজ গাড়ীতে চড়ে। আর এগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার অবদান।

তাই শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তাকেই বিজয়ী করবেন। প্রার্থীরদিকে নয় শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে নৌকায় ভোট দিবেন। কোন নেতা যদি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে, নৌকাকে ডুবাতে চেষ্টা করবে তাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে কোন অবস্থায় তাকে আর দলে নেওয়া হবেনা। কেরানীগঞ্জে আমান উল্লাহ আমানকে পরাজিত করতে ঐক্যের বিকল্প নেই।

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক হাজী শফিউল আজম খান বারকু ও আলতাফ হোসেন বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ বেনজীর আহমেদ এমপি ও কেরাণীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।

অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখের সাবেক ছাত্রনেতা পনিরুজ্জামান তরুণ,আ’লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন সাহা,আবু ছিদ্দিক, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব,জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকু, ভাকুর্তা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো.আনোয়ার হোসেন, কালিন্দী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী আনোয়ার হোসেন, মডেল থানা যুবলীগ সভাপতি মনির হোসেন মনির প্রমুখ।