কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে আরাও ৭৫ জনকে(৬৮,৭০০ টাকা) জরিমানা ও ৩ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৫ জুলাই (রবিবার) পুলিশ ও বিজিবির সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দেবনাথ এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিল কাঠুরিয়া এলাকায় পানকৌড়ি, মৌমাছি, টিকটিক ক্যাফেসহ ৬ রেস্টুরেন্ট কে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা ও একজনকে কারাদণ্ড প্রদান করে। একই সময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা পারভীন তিন্নি ও ইকবাল হাসান উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা অযথা ঘর হতে বেড় হাওয়া, দোকান খোলা রাখা, মাক্স পরিধান না করাসহ নানা অপরাধে দুই জনকে কারাদণ্ড সহ ৬৮টি মামলা প্রদান করেন।
লকডাউনের তৃতীয় দিনে উপজেলা প্রশাসনের কঠোরতায় বাজার ও রাস্তার পাশের দোকানপাট যথারীতি বন্ধ ছিলো। পাড়া মহল্লার চা-পানের দোকানগুলোতে প্রচুর জনসমাগম দেখা গেলেও সন্ধ্যা ও রাতের অভিযানে জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য দিনের মত আজও অটোরিকশা, সিএনজিগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
রোহিতপুরের লাখিরচর-তুলশীখালী ব্রিজ, বিসিক শিল্পনগরী, কেরানীগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, হযরতপুরের ঢালিকান্দী, আলীপুর ব্রিজসহ কিছু জায়গায় প্রথম দুইদিনের তুলনায় কম মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। ধলেশ্বরী,কালীগঙ্গা নদীসহ পাশে খালগুলোতেও অশ্লীল নৃত্য অব্যাহত ছিলো।
রোহিতপুর, কলাতিয়া, কদমতলী,জিনজিরা,হাসনাবাদ, আব্দুল্লাহপুরেও অন্যদিনের তুলনায় বেশি লোক সমাগম দেখা গেছে। এ সময় অধিকাংশ মানুষের মুখে দেখা যায়নি মাক্স, ছিলোনা সামাজিক দুরত্বও। তাছারা দোকানিরা বিভিন্ন পন্থায় দোকান খোলা রাখায় ক্রেতাদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেছেন, ম্যাসেজ একটাই, বাসায় থাকতে হবে। অযথা ঘর হতে বেড় হলে জেল-জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে। এসময় তিনি রেস্টুরেন্ট মালিকদের তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।