শিশুর মা সীমা জানান, ভন্ড ডাক্তারের কারণে আমার সোনা মানিকের পা হারালাম। তার দেওয়া ইনজেকশনই কাল হলো আমার। ডাক্তার ঝাড়ফুঁকে সাথে দুটি ইনজেকশন দিলে আমার ছেলের পায়ের নিচের অংশ কালো হয়ে যায়। এব্যাপারে তাকে বললে প্রথমে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, পরে অন্য মানুষের সহায়তায় সে উন্নত চিকিৎসার দায়দায়িত্ব নিলেও আমার ছেলের পা বাঁচানো গেলোনা।
গ্রাম্য ডাক্তার দেব কিশোর নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলেও মূলত সে ফার্মেসীতে তাবিজ-কবচের পাশাপাশি কিছু ঔষধও বিক্রি করেন। তিনি জানান তার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা। তার বাবাও গ্রাম্য ডাক্তার ছিলেন। তার ইনজেকশনের কারণে এমন হয়নি বলে দাবি তার।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড়াঃ মশিউর রহমান জানান, আমরা নিয়মিত এসব হাতুরে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিচ্ছি। এব্যাপারে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(কেরানীগঞ্জ সার্কেলে) শাহাবুদ্দিন কবির জানান, ‘শিশুটির পা হারানোর খুবই দুঃখজনক একটি ব্যাপার । পুলিশের পক্ষ হতে পরিবারটিকে সকল প্রকার সহায়তা কথা জানান তিনি। এ ঘটনায় শিশু অনিকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।